ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় পাঁচ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

ডেস্ক রিপোর্ট – ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে গৌরীপুর থানার চার এএসআই ও এক পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহের এএসপি (ডিএসবি) জয়িতা শিল্পী।

তারা হলেন- গৌরীপুর থানার এএসআই আব্দুল আউয়াল, রুহুল আমিন, আনোয়ার হোসেন, কামরুল ও কনস্টেবল আল আমিন। 

স্থানীয়রা জানান, বলুহা গ্রামের আব্দুল কদ্দুছের ছেলে বর্ষা টেলিকমের মালিক খোকন মিয়া ইয়াবা বিক্রি করেন, এ তথ্যের অভিযোগে রোববার রাতে রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার দোকানে গৌরীপুর থানার এএসআই আব্দুল আউয়াল, রুহুল আমিন, আনোয়ার হোসেন, কামরুল ও কনস্টেবল আল আমিন সিভিল ড্রেসে তল্লাশি শুরু করে ইয়াবার একটি পোটলা খুঁজে পান। এটি তার নয় দাবি করে প্রতিবাদ জানালে উপস্থিত লোকজনের সামনে তাকে মারধর করেন পুলিশ সদস্যরা।

তারা আরো জানান, একজন ভালো মানুষকে মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনগণ পুলিশদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় এসআই রহুল আমিন ও কামরুল পালিয়ে গেলেও বাকি তিন পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় অটোটেম্পু মালিক সমিতির ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। পরে রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে অবরুদ্ধ হওয়া তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেন এএসপি (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকীসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা।

বর্ষা টেলিকমের মালিক খোকন মিয়া বলেন, ঘটনারদিন রাতে পাঁচজন পুলিশ আসেন দোকানে মোবাইলে টাকা লোড করতে। এসময় একজন তাকে বলেন সাইড দাও আমরা তোমার দোকান তল্লাশি করব। একপর্যায়ে তল্লাশির নামে দোকানের সিসি ক্যামেরার চার্জার খুলে ফেলে। তখন সিসি ক্যামেরা ওপেন করে তল্লাশির জন্য পুলিশদের অনুরোধ জানাই। অনুরোধ না রেখেই পুলিশ দোকানে তল্লাশি শুরু করে। এসময় এক পুলিশ দোকানের সামনে কাউন্টারে রাখা ইলেকট্রনিক তারের কয়েলের ভেতর থেকে প্লাস্টিকে মুড়ানো ইয়াবা বের করে এনে আমার হাতে হাতকড়া পড়ান। এর প্রতিবাদ করায় পুলিশ আমাকে মারধর করে। 

এএসআই আনোয়ার হোসেন জানান, ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করার খবরে তারা খোকনের দোকানে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার দোকানে একটি পোটলার মধ্যে ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু স্থানীয়রা খোকনকে ভালো লোক দাবি করে তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এ ঘটনায় এএসপি (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।